আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ছোট রাখার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ। পাশাপাশি সংস্থাটি বাজেট ঘাটতি কমিয়ে রাখা এবং রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছিল। সংস্থাটির শর্তে বিশেষ জোর দিয়েই বিশেষ এক সময়ের নতুন বাজেট ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাজেট বিশ্লেষণে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের বাজেট আইএমএফমুখী।
বাজেটের ঘাটতি সামলাতে সরকার বাড়তি কর আহরণ এবং বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করছে। আইএমএফের শর্তের জালে আটকা পড়ায় করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্পের ক্ষতি হবে এবং সাধারণ মানুষ চাপে পড়বে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সহযোগিতা পেতে বাজেটে জোর দিয়েছে সরকার, যাতে প্রতিশ্রুত বৈদেশিক ঋণ বেশি ছাড় হয় এবং নতুন ঋণ পাওয়ার পথ সুগম হয়।
আইএমএফের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই বাজেট সহায়তা নিশ্চিতের প্রস্তুতি নিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বাড়ানো হয়েছে বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা।
জানা যায়, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে যে আশ্বাস এসেছে, তাতে চলতি অর্থবছরে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি বাজেট সহায়তা পাওয়ার কথা, যা কোনো একক অর্থবছরে সর্বোচ্চ বাজেট সহায়তা। অন্তর্বর্তী সরকারের জোর প্রচেষ্টায় চলতি অর্থবছরে এই সহায়তা আসছে দেশে।
এর আগে করোনা মহামারিতে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে ৪৭০ কোটি ডলারের বেশি বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।