সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। এসব কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী তৃতীয় পক্ষ ঢুকে সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের অন্য অংশ। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে অচল হয়ে পড়ে সচিবালয়ের সকল কার্যক্রম।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সোমবার থেকে টানা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ দ্রুত পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তারা।আকস্মিক পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে ১ কোটিরও বেশি শিশু শিক্ষার্থী ক্লাস রুমের বাইরে। এতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।