মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকার পরিমাণ ৩৩ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা এক লাফে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় আট হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের সাড়ে ১০ মাসে ২৭ হাজার ১৩০টি সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট পাওয়া গেছে। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
একদিকে, যখন পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার, তখন ভারতীয় গদি মিডিয়া গুজব রটাচ্ছে- অর্থনীতি ডুবতে চলেছে বাংলাদেশের, সুইস ব্যাংকের টাকার অংক বেড়ে চলেছে, মুখে কুলুপ ইউনূসের।মূলত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করতেই এ ধরণের অপপ্রচার করছে আওয়ামী বান্ধব এসব মিডিয়া।
জেড নিউজ, ঢাকা