অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে আরও কঠোর এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নতুন একটি জাতীয় কৌশল গ্রহণের পথে হাঁটছে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। চার বছর মেয়াদি এই ‘জাতীয় কৌশলপত্র’তৈরির সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগেও তিনটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করে জাতীয় সমন্বয় কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়। এসব কৌশলপত্র প্রণয়নে নেতৃত্ব দেয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।এ কৌশলপত্রে ১১টি কৌশল এবং ১৩৭টি ‘অ্যাকশন আইটেম’ ছিল, যার মধ্যে ৬৯ শতাংশ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন কৌশলপত্রে বেশ কিছু কঠোর ও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা যুক্ত হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে- বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ; অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন তদন্তের দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনা; একটি কার্যকর বিচারব্যবস্থা গড়ে তোলা; দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং দেশে কার্যরত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
কর্মকর্তাদের মতে, দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আগের সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আগের দুই কৌশলপত্রে অনিষ্পন্ন থাকা আইটেমগুলো নতুন কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করে সেগুলোর বাস্তবায়নে তৎপরতা চালাচ্ছে।
জেড নিউজ , ঢাকা ।