আসছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা, যা দেশের দুর্বল অর্থনীতিতে কিছুটা গতি বাড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। সরকারি চাকরিজীবীরা ঈদের বোনাস পেয়েছেন। বেসরকারি অধিকাংশ কোম্পানিও বোনাস দিয়েছে। বাড়ছে রেমিট্যান্সও। দেশীয় পোশাক কারখানাগুলোতে বেড়েছে উৎপাদন। বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা বেড়েছে। এই ঈদের প্রধান আকর্ষণ পশু বেচাকেনাও শুরু হয়েছে। সবকিছু মিলে এই উৎসব অর্থনীতিতে গতি বাড়াচ্ছে।
অন্যদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে বাড়তি টাকার প্রবাহের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঘন ঘন হাতবদল হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন বাড়ে, মানুষের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়।
এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে। তবে এর সঙ্গে সরবরাহ ঠিক রাখতে না পারলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর দেশে কুরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ৪ লাখ। কিন্তু বর্তমানে দেশে রয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে ২০ লাখ পশু বেশি আছে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এই উৎসবের কারণে অর্থনীতিতে গতি বাড়ে। এক্ষেত্রে টাকার প্রবাহ এবং পণ্যের সরবরাহ দুটিই বাড়ে। এ কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হয়। ফলে উৎসব অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
জেড নিউজ, ঢাকা।