জান্তা বাহিনীর অস্ত্রের মুখ থেকে বেঁচে কোনো মতে দেশ ছেড়েছিলেন। মানবিক বিবেচনায় তারপর ঠাঁই হয়েছিলো বাংলাদেশে। উদ্বাস্তু বা অভিবাসী হিসেবে পেয়েছিলেন বৈশ্বিক স্বীকৃতি আর সহযোগিতা। কিন্তু সময় যত বাড়ছে সেই সহযোগিতার হাত যেন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি, কমছে মাথাপিছু বরাদ্দ। মাত্র ১২ ডলার দিয়ে দুর্মূল্যের এই বাজারে যেখানে খেয়ে বাঁচাই দায়, সেখানে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রি সেতো দূরের কথা।
তথ্য বলছে, জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচী ডাব্লিউএফপি বর্তমানে কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের মাথাপিছু ১২ ডলার এবং নোয়াখালীর ভাষাণচরে ১৩ ডলার করে বরাদ্দ দেয়। তবে চলতি বছরের মার্চে এই বরাদ্দ কমানোর কথা বলে হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি ঠিক রাখা হয়। যদিও এই বরাদ্দ কমার আশঙ্কা এখনো রয়েই গেছে।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৭ সালে ব্যাপক ভাবে রোহিঙ্গা ঢল নামলে তখন সারা পৃথিবীর দৃষ্টি ছিলো বাংলাদেশের দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা একে বৈশ্বিক সঙ্কট হিসেবে আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেয়।
কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে সেইসব দেশ সংস্থার নজর থেকে ক্রমেই সরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই অবস্থা রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশকেও দাঁড় করাচ্ছে সঙ্কটের মুখোমুখি। এরপরও রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তী সরকার।
জেড নিউজ, ঢাকা।