চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌরসভার আলিমনগর ভুতপুকুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ছয়জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মনতাজুর রহমান হাকুর হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ভারতীয় আধার কার্ড ও নাগরিকত্ব প্রমাণের নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লির সাহেবাবাদ গ্রামের মোঃ দানেশ (২৮), তার স্ত্রী মোছাঃ সোনালি খাতুন (২৬) এবং ছেলে মোঃ সাব্বির শখ (৮)। সোনালি খাতুন বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারাই থানার ধিতরা গ্রামের মোছাঃ সুইটি বিবি (৩৩) ও তার দুই ছেলে মোঃ কুরবান দেওয়ান (১৬) এবং মোঃ ইমাম দেওয়ান (৬) আটক হন।
জানা যায়, গত ২৪ জুন দিল্লির কালীমাতা থানার পুলিশ তাদের বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে আটক করে। পরদিন ২৫ জুন বিএসএফ কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক পুশ-ইন করে। ফলে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী, তার শিশু সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করে সীমান্তে ফেলে দেওয়া হয়।
পরিবারের দাবি, আটকরা সবাই ভারতীয় নাগরিক। তাদের ফেরত আনার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, “অসম সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছিল। সম্প্রতি তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। তাদের কাছ থেকে ভারতীয় নথি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু মহিলা ও শিশু রয়েছে, বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এভাবে পুশ-ইন করা কেবল অমানবিকই নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকা