ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার এবং ১০ শিল্পগোষ্ঠীর ব্যাংকঋণে অনিয়ম, কর ফাঁকি, অর্থ পাচারসহ নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে সরকার গঠিত ১১টি তদন্ত দল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ও পাচার করা অর্থের খোঁজ মিলেছে এস আলম গ্রুপের। এসব ঘটনায় ইতিমধ্যে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বিশেষ অধ্যাদেশ তৈরির কাজ চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অর্থ পাচারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এরপর থেকে জোরেশোরে কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বয়ে যৌথ তদন্ত দল।
শেখ পরিবারের বাইরে যে ১০ শিল্পগোষ্ঠী নিয়ে তদন্ত চলছে, সেগুলো হলো এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ ও আরামিট গ্রুপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সব মিলিয়ে আমার ধারণা, আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার করা সম্পদের বড় একটি অংশ জব্দ করা হবে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ১১টি তদন্তের মধ্যে ৯টি গ্রুপেরই বিদেশে সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এসব সম্পদের সবই পাচার করা অর্থে গড়ে উঠেছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।