Wednesday, May 14, 2025
More
    Homeমতামতমাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যে হয়তো গাঁজা বাসি পৃথিবীর থেকে মুছে যাবে।

    মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যে হয়তো গাঁজা বাসি পৃথিবীর থেকে মুছে যাবে।

    আমিরুল ইসলাম কাগজী

    কিন্তুু,ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে—পাকিস্তান ছিল বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর, তবু গাজার রক্ষার্থে একটি বোমাও উড়ে আসেনি।

    মিশরের বুক চিরে নীলনদ বয়ে গিয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী, যা প্রাণ জুগিয়েছে আফ্রিকার মরুভূমিকে। অথচ, পাশেই গাজার শিশুরা তৃষ্ণায় কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল।

    সৌদি আরব, আরব আমিরাত ছিল তেলের সাগর তেলের সাগরে ভেসে থাকা বিলাসী সাম্রাজ্য, কিন্তু, গাজার অ্যাম্বুলেন্সগুলো তেল না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল নিঃশব্দে, নিরূপায়। নিরবতা যেনো তাদের একমাত্র আর্তনাদ।

    সর্বোচ্চ আশা-প্রত্যাশার অসংখ্য চোখ তাকিয়ে ছিল তুরস্কের দিকে। নেতৃত্বের স্বপ্নে বিভোর, ‘উম্মাহ’র দাবি করা মুখপাত্র। তবু, গাজার জন্য তারা কিছুই করলো না। না রসদ-সামগ্রীর সাহায্য, সামরিক সহযোগিতা, না নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় কূটনৈতিক আগ্রাসন..

    গোটা বিশ্বের মুসলমানদের ছিল ৫০ লাখ সৈন্য, ছিল ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, স্যাটেলাইট, গোয়েন্দা বাহিনী, ছিল আধুনিক প্রযুক্তি এমনকি হাইড্রোজেন পরমাণু বোমা— কিন্তু, গাজার আকাশে একটাও ছায়া পড়েনি। গাজার দিকে কেউ হাঁটেনি।

    সবকিছু থাকবে ইতিহাসে। গাজার মতোই– কাশ্মীর, উইঘুর, রোহিঙ্গা ভারত সিরিয়া সহ বিভিন্ন প্রান্তে জুলুমাতের অন্ধকারে থাকা মুসলমানদের কথা। তবে, সবচেয়ে করুণভাবে লেখা থাকবে– ‘তারা চুপ ছিল। সবাই নিরব ছিল। মৃত্যুর চেয়েও গভীর ছিল সে নীরবতা।’

    আর নীরবতার জন্য হয়তো শেষ সময়ে এসে ইট পাথরে কথা বলবে।
    গা^জার সর্বশেষ অবস্থা:

    ১. গাজার প্রতিটি এলাকায় এখন নিয়মিতভাবে *নিষিদ্ধ ফ্লোরিন বো✊মা * ব্যবহার করা হচ্ছে।

    ২. প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে মিসা/ইল ছোড়া হচ্ছে!
    পুরো অঞ্চলটি মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

    ৩. আলজাজিরা, CNN, NBC-সহ সকল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের গা^জার ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে IDF। কোনো মিডিয়াকে সেখানে রিপোর্ট করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাস্তবতা ঢেকে রাখা হচ্ছে বিশ্ববাসীর চোখ থেকে।

    ৪. এখন গা^জার মানুষের জন্য খাবার নয়, দরকার অক্সিজেন। বাতাসে বিষ — নিঃশ্বাসও এখন প্রাণঘাতী।

    ৫. রাফা^হ শহর সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন! খবর আসছে — সেখানে আর কেউ বেঁচে নেই।

    ৬. চারপাশে শুধু ছাই, ধ্বংস আর নীরবতা। জীবনের কোনো চিহ্ন নেই।

    – তথ্যসূত্র Al Jazeera

    —————————–

    একটি জাতি পুরোপুরি নিঃশেষ হওয়ার সময়েও পুরোটা দুনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা চুপ। মিডল ইস্টের শাসকেরা ঘুম।

    সর্বশেষ

    রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ২ জনের যাবজ্জীবন, অন্যদের ১০...

    জেড নিউজ, ঢাকা: ২০০১ সালে বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে ছায়ানটের...

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রপাগান্ডা

    জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে বাংলাদেশে বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী...

    যুদ্ধ নিয়ে ভারতের মানুষের প্রশ্নের জবাব দেবে মোদি সরকার

    যুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর এখন ভারতের টার্গেট...

    জনরোষের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শুভেন্দু ও ময়ূখ রঞ্জন

    জনরোষের মুখে এবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি...

    আরও সংবাদ

    রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ২ জনের যাবজ্জীবন, অন্যদের ১০...

    জেড নিউজ, ঢাকা: ২০০১ সালে বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে ছায়ানটের...

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রপাগান্ডা

    জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে বাংলাদেশে বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী...

    যুদ্ধ নিয়ে ভারতের মানুষের প্রশ্নের জবাব দেবে মোদি সরকার

    যুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর এখন ভারতের টার্গেট...